জঙ্গলমহলে ভাঙন অব‍্যাহত জোড়াফুল শিবিরে : ভীড় বাড়ছে পদ্মে

8th January 2021 9:37 am বাঁকুড়া
জঙ্গলমহলে ভাঙন অব‍্যাহত জোড়াফুল শিবিরে : ভীড় বাড়ছে পদ্মে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙ্গন ততই ত্বরান্বিত হচ্ছে । আবারো সোনামুখীতে বড়োসড়ো ভাঙ্গন তৃণমূল কংগ্রেসে । এবার সোনামুখী ব্লকের পিয়ারবেড়া পঞ্চায়েতে ৫০০ জন সংখ্যালঘু সহ ১০০০ জন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন ।  এদের মধ্যে একজন তৃণমূলের পিয়ারবেড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও সোনামুখী ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ রয়েছেন । সোনামুখীর বিজেপি নেতা ব্রজ অধিকারীর নেতৃত্বে এই যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । যোগদানকারীদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি সুজিত অগাস্থি । তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এই যোগদান বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি আরো দুর্বল করল এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ । বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি সুজিত অগাস্থি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন , এই যোগ দানের ফলে সোনামুখী বিধানসভা এলাকায় বিজেপির সংগঠন আরো বেশী মজবুত হবে বলে তিনি মনে করেন । 

তবে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি এমনটাই দাবি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বদের । সোনামুখীর তৃণমূল নেতা প্রকাশ সাহা বলেন , বিজেপি  এক হাজার জন জয়েন্ট করার গল্প বলছে । আর যে সমস্ত নাম ওরা বলছে ওই নামের সোনামুখী ব্লকে কেউ আছে আমার জানা নেই । এছাড়াও তিনি বলেন সংখ্যালঘুরা এখনো মমতা ব্যানার্জির সাথে আছে মমতা ব্যানার্জির এত উন্নয়ন তাছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের এত দূর দিন পড়ে যায় নি যে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে হবে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।